নজরদারির সঙ্গে চাই সামাজিক প্রতিরোধ
সারাবিশ্বের পাশাপাশি উগ্র জঙ্গিবাদী সন্ত্রাস বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা হিসেবে গণ্য হতে যাচ্ছে। দেশে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক যে উগ্রবাদী হামলা ঘটছে তা মানুষকে অসহায় করে তুলছে। মানুষ এর সুরাহা চায়। এ থেকে মুক্তি চায়। সে জন্য সরকার যে পদক্ষেপ নেবে তাতে কারো আপত্তি থাকবে বলে মনে হয় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে কঠোর নজরদারি এবং সামাজিক প্রতিরোধই পারে জঙ্গি ও সন্ত্রাস নির্মূল করতে। বর্তমান সরকার জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে নানা পদক্ষেপ অব্যাহত রাখলেও সংকট পিছু ছাড়েনি। গত ১ জুলাই শুক্রবার গুলশানের হোটেল আর্টিজানে এবং ঈদুল ফিতরের দিন (০৭ জুলাই) শোলাকিয়ায় ঈদগাহ ময়দানের পাশে জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক ইতিহাসের যে ঘৃণ্য ঘটনা ঘটেছে তা পুরো জাতিকে স্তম্ভিত করে দিয়েছে। শুধু বাঙালিরা নয়, সারা বিশ্ব এ ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে। বাংলাদেশের মতো একটি দেশে এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববাসীকে নতুন বার্তা দিয়ে গেলো। তবে আশার কথা হলো সরকার বিষয়গুলোকে যথেষ্ট সতর্কতার সঙ্গে মোকাবিলা করছে এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অকুতোভয় লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।